Thursday, December 16, 2021
Sob bhuture
সব ভুতুড়ে
বিপত্নীক তপন বাবু একা থাকেন এই 12 তলা housing complex এ! 8 তলায় 10 টা ফ্ল্যাট।। এক মাত্র ছেলে ব্যাঙ্গালোরে থাকে বৌ আর 10 বছরের ছেলে নিয়ে। ছেলে বউ দুজনেই IT কোম্পানি তে চাকরি করে।দু মাস তিন মাসে একবার চলে আসে বাবা কে দেখতে আর যদি কোনো দরকার থাকে।
প্রায় whatsapp video chat তো আছে ই।
কাজের মেয়ে আছে। সকালে আসে বিকেলে চলে যায় বনগাঁ লোকাল ট্রেন ধরে।
সামনের ফ্লাটে এক young couple থাকে তাদের 5 বছরের বাচ্চা টা প্রায় চলে আসে। ওর সঙ্গে তপন বাবুর সময় ভালয়ী কাটে, তবে মন্টু একটু দুস্টু।
জিনিস পত্র লন্ড ভন্ড করে দেয়। কাজের মে কাজল মন্টু কে চোখে চোখে রাখে।
এ ভাবেই তপন বাবুর সময় মন্টু আর TV দেখে চলে যাচ্ছিল। এখন আর গল্পের বই পড়েন না।
কিছু দিন থেকে দেখছেন যে জিনিস পত্র বিকেল বেলা তেও এখানে ওখানে সরানো, খুঁজে তে অসুবিধে হয়!
মন্টু কি বিকেলে ও আসে?
দরজা তো বন্ধ!
তবে কে poltergeist, ভুতুড়ে ব্যাপার।
তপন বাবু অবশ্য ভূত ভগবান মানেনা।
তপন বাবু কাজল কে বলেন খুঁজে তে।
তপন বাবু ছেলে অসিত কে বলেন জিনিস পত্র ওলট পালট হবার কথা।
অসিত ভাবে একি ব্যাপার, বাবার ভীমরতি ধরে নি তো।
এ ভাবে বেশ কিছু দিন কেটে যায়, তপন বাবুর বাকিটা সময় নিত্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জিনিস পত্র খুঁজতে চলে যায়।
ওদিকে অসিত ও চিন্তিত।
অসিত ছুটি নিয়ে একাই চলে আসে নিজের চোখে দেখার জন্য।
দু দিন কাটানোর পর একটু আঁচ করতে পারে।
ও দেখলো বাবা আর আগের মত কিছু মনে রাখতে পারে না।
বন্ধু ডাক্তার অম্লানের সঙ্গে আলোচনা করে তপন বাবু কে এক Neurologist এর কাছে নিয়ে গেল।
ডাক্তার তপন বাবুর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ না না বিষয় কথা বললেন।
অসিত কে আলাদা ডেকে বললেন ওর বাবার এটা early stage ডিমেনশিয়া ।
তপন বাবু নিজেই জিনিস এদিক ওদিক রাখেন তারপর ভুলে জান। সকালে মন্টু জিনিস গুলো নাড়া চড়া করে তাই উনি ভাবেন অন্য কেউ বিকেলে জিনিস গুলো এদিক ওদিক করছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment