Friday, May 31, 2024

পর্বতারোহী






আমি উদগ্রীব হয়ে ডায়েরিটা পড়ছিলাম, কালকেই  আমার সহাকারী বাবুলাল এটি দিয়ে গেছে l ও ঐ ডায়েরীটা একজন বোট চালকের থেকে পেয়েছে যখন ও বেনারস যায়,মনে হয়ে বিদেশী টুরিস্ট ওটি ভুলে ফেলে গেছে! নাম লেখ Liam Johansson, সুইডেনবাসি l

ডায়েরি তে লেখা
...........



আমি পাহাড়ের ফাটলের মধ্যে ঝুল ছিলাম। গভীর অন্ধকারে তলা দেখা যাচ্ছে না, আমি সাহায্যের জন্য উপরে তাকালাম, তুষারঝড়ের মধ্যে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না; আমি নিশ্চিত মৃত্যুর জন্য তৈরি । স্লাইড শোয়ের মতো, আমার পুরো পুরনো জীবন মনের স্ক্রীনে মুহূর্তের জন্য ভেসে উঠলো l
নিক্কাদুকতায় আমার স্কুলের দিনগুলি থেকে শুরু করে এবং কিরুনায় মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং  কলেজের দিনগুলি, সুইডেনের সবচেয়ে উঁচু পর্বত কেবনেক্সে আমার আরোহণ অভিযান, আমার ব্যর্থ বিয়ে এবং অবশেষে আমার এই  পাহাড়ের চড়ার চেষ্টা, সেই দুর্গমএভারেস্ট।

      আমার ব্যাকপ্যাক যাতে ছিল  সিলিন্ডার সহ আমার অক্সিজেন মাস্ক ছিঁড়ে আমার পিঠ থেকে পড়ে গেছে সেই গভীর ফাটলে। আমি অক্সিজেনের জন্য হাঁপাচ্ছিলাম, আমি তখন আমার ক্লাইম্বিংএর স্পেশাল ক্রস বেল্টের সাহায্যে ঝুলে ছিলাম যা আমার পর্বতারোহণের দড়ি দিয়ে আমার পর্বতারোহণের কুড়ালের সাথে বাঁধা ছিল। আমি চিৎকার করে বললাম, "হেল্প হেল্প!" বৃথা চিৎকার করা,কে শুনবে?
আমি অনুভব করলাম দড়ি ক্রমশ নিচের দিকে পিছলে যাচ্ছে, আমার মৃত্তু নিশ্চিত্ , কুড়াল আমার ওজন আর নিতে পারছে না, আমি চোখ বন্ধ করলাম, আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না কিন্তু আমার জীবনের সেই শেষ সেকেন্ডে আমি আশা করতে শুরু করলাম অলৌকিক ঘটনা যা আমাকে বাঁচাবে!
আমি একটা ঝাঁকুনি অনুভব করলাম, আমি দেখলাম আমি ধীরে ধীরে উপরে যাচ্ছি, অবশেষে ঈশ্বর সাহায্য পাঠিয়েছেন বা তিনি নিজেই এসেছেন। আমি এই অলৌকিক ঘটনাটি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, আমি হ্যালুসিনেশন করছিলাম নাতো, আমি কোথাও পড়েছি যে মৃত্যু যখন খুব কাছে আসে তখন মানুষ সব ধরণের ইতিবাচক জিনিস কল্পনা করতে শুরু করে। আমি কিছু প্রায় মৃত্যুর কাছের অভিজ্ঞতা পড়েছি যেখানে তাদের যেন কোন দেবদূত একটি গুহার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, গুহার শেষে জ্যোতি।
আস্তে আস্তে আমিও উপরের দিকে একটা আবছা আলো দেখতে পেলাম, দড়িটা আস্তে আস্তে আমাকে উপরের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আমিও আমার ক্লাইম্বিং বুট ফাটলের রাখলাম এবং আমার শরীরকে একটু সামনের দিকে ঝোঁকালাম যাতে আমি উপরে ওঠায় আমার  শক্তি লাগাতে পারি। ব্যাস আর কিছুই মনে নেই!আমি অজ্ঞান হয়ে যাই!
যখন আমি আমার চোখ খুললাম, চারি দিকে অন্ধকার কিন্তু আমি  স্বচ্ছন্দে শ্বাস নিতে পারছি। আমি বুঝতে পারলাম যে আমার মুখে অক্সিজেন মাস্ক ; আমি ওঠার চেষ্টা করলাম কিন্তু একটা হাত আমাকে উঠতে বাধা দিল। হাতের মালিক আমার পায়ের চেট, হাতের তালু মেসেজ করছিল; আমি বুঝতে পারলাম সে আমার রক্ত ​​চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। আমি উঠতে চেস্টা করলাম যে সেই অপরিচিত লোকটাকে দেখতে যে আমার জীবন বাঁচিয়েছে নাকি আমি এখন আমি মৃত এবং পরকালের স্টেশনে অপেক্ষা করছি স্বর্গে  কিংবা নরকে যাবার আগে?
আমি  মনে করার চেষ্টা করছিলাম কি করে আমি ওই ফাটলে পড়ি l
আমি সকালে লোহতসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ক্যাম্প 2 থেকে বেরিয়ে এলাম। এটি ছিল 8000 মিটারে লোহতসের পাদদেশে বরফের প্লেন জায়গা। আমাদের সাথের পর্বতারোহীরা  লোহতসে চড়ার জন্যে বেরিয়ে গিয়েছিল। লোহৎসের তুষার শিখরটিতে অস্তগামী সূর্যের রশ্মিতে ঠিকরে বর্ণময় রঙের প্রদর্শনের  একটি মন্ত্রমুগ্ধকর দৃশ্য । আমাকে বলা হয়েছিল যে এখান থেকে পাহাড়ে আরোহণটি বেশ খাড়া এবং মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণের চেয়ে আরও বেশি আরোহণের কৌশল প্রয়োজন। গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেল তাই আমি আমার শেরপার সাথে পরিকল্পনা করেছিলাম পরের দিন ক্যাম্প 1 এ আরোহণ করব এবং তারপর এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণের চেষ্টা করব। আমাদের আগেই কিছু দল এভারেস্ট আরোহণের উত্তেজনায় দ্রুত এগিয়ে গেছে। পর্বতারোহীদের একটি দীর্ঘ সারি চূড়ান্ত আক্রমণের চেষ্টা করছিল। বেস ক্যাম্পে, আমাদের বলা হয়েছিল যে 2017 সালের সেই বছরে নেপাল সরকার দক্ষিণ দিক থেকে এভারেস্টে আরোহণের করার জন্য প্রায় 3580 টি দলকে লাইসেন্স জারি করেছিল, মৃত্যুর হার 1.2 শতাংশ ,লোক সাহসী হয়ে উঠেছে percentage কম দেখে। আশ্চর্যের কিছু নেই যে ক্যাম্প 2-এ এতগুলি তাঁবু ছিল। বেশিরভাগ ভারতীয় পর্বতারোহী স্পন্সেরে আসে , একজন পর্বতারোহী আমাকে বলেছিল যে সে  30 থেকে 40 লক্ষ ভারতীয় টাকা সংগ্রহ করেছিল স্পন্সরদের কাছ থেকে। আমিও আমার সরঞ্জামের জন্য কিছু বাণিজ্যিক সংস্থা থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছি সুইডেনে কিন্তু বেশিরভাগই আমার নিজের টাকা । আমার ভেঙ্গে যাওয়া বিয়ের মানসিক চাপ থেকে বাঁচবার জন্য আমি এই ট্রিপ নি, এমনিতেই সুইডেনে সব পাহাড় চড়া ।
     যখন আমি লোহটসের দিকে যাচ্ছিলাম তখন আমি আমার সমস্ত ক্লাইম্বিং গিয়ার নিয়ে এগোচ্ছি। আমার শহর নিক্কাদুকতার তাপমাত্রা মাইনাস 30 ডিগ্রিতে নেমে যায় তাই তখনকার মাইনাস 18 এর তাপমাত্রা  আমার জন্য খুব বেশি ছিল না। আমি দেখেছিলাম কিভাবে ভারতীয় পর্বতারোহীরা টন টন ভারি পশম পরেছিল।
একা হাঁটতে হাঁটতে কতদূর চলে গেছি খেয়ালই করিনি। মে মাসে আমি কোন তুষারপাত বা তুষারঝড়ের আশা করিনি  কিন্তু তারপরে হঠাৎ তুষারঝড় হল এবং এটি এতটাই অপ্রত্যাশিত ছিল যে আমি হোঁচট খেয়ে সেই জঘন্য ফাটলে পা দিয়েছিলাম। আমি তাড়াহুড়ো করে আমার পর্বতারোহণের কুড়ালটি ফাটলের ঠোঁটে আঘাত করেছিলাম এবং আমার আরোহণের দড়ি দিয়ে নিচে পড়েছিলাম, আমার অক্সিজেন মাস্কটি ছিঁড়ে যায়।

ডায়েরিটি এতোদূর পড়ে আমি আমার রাতের টেবিলে  রাখলাম এবং আরোহীর দুঃসাহসিক কাজ সম্পর্কে ভাবতে লাগলাম, বাহ, এটি বেশ লোমহর্ষক গল্প।
বাবুলালকে মনে মনে ধনবাদ দিলাম এই মূল্যবান ডায়েরিটি জোগাড় করায় l

আমি এলোমেলোভাবে ডায়েরিটি খুলেছিলাম, পড়তে শুরু করেছি, এটি আমাকে চুম্বকের মত আঁকড়ে রেখেছিল।  পরের দিন মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণের জন্য ডিসকভারি চ্যানেল দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম। জন হান্টের লেখা দ্য অ্যাসেন্ট অফ এভারেস্ট ছিল আমাদের দিল্লি উচ্চ মাধ্যমিক কোর্সের সাইড বুক, আমি সুইডেনএর ওই পর্বত আরোহীর এক্সপেরিয়েন্স সঙ্গে তাই relate করতে পারছিলাম।
বাকি অংশ পরে পড়বো বলে রেখে দিলাম।
নিঃসন্দেহে এভারেস্টে চড়া একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ আর পয়সা খরচের ব্যাপার আছে, এই তো সেদিন আলাপ হলো এক মাউন্টেনিয়ারিং পাস করা একজনের সঙ্গে,সে বেস ক্যাম্প অব্দি টুরিস্টদের নিয়ে যায়, বেস ক্যাম্প 6000 মিটার ওপরে, ও আমাকে হিসেব দিচ্ছিল ওখান অব্দি যাবার, প্রায় 3 থেকে 4 লাখ টাকা লাগে, আমাকে ওখানে যাবার প্রলোভন দিচ্ছিল l বলছিলো বেস ক্যাম্প পৌঁছাবার আগে বেশ কিছু homestay র সঙ্গে ওদের ব্যবস্থা আছে, সুন্দর সব সিন সিনেরি!বাবা আমর এই বয়সে ওখান ওঠার জন্য দেহে শক্তি নেই কিন্তু মনের বল আছে!
আমি বিছানায় শুতে শুতে ভাবছিলাম ওই হাতটি যেটা Liam কে টেনে তুলেছে ।
রহস্যময় সাহায্যের হাত সম্পর্কে জানবার জন্য পরের দিন ডায়েরির বাকি অংশটি পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।

ওটা কি ইয়েতি ছিল নাকি ঈশ্বর?

Saturday, May 25, 2024

Unveiling the Past: A Lamp's Silent Tale of Truth and Justice



Samaranand was, as usual, engrossed in his hobby of watercolor painting when the doorbell rang. He got up and found his assistant, Babulal, standing at the door with a bag and a broad smile. Samaranand immediately sensed that Babulal had brought something interesting.

“Look what I’ve found, sir!” Babulal exclaimed, pulling a lamp out of the bag.

Samaranand examined it closely. “This looks like a 19th-century kerosene lamp, the kind used in old Kolkata. It's quite an antique,” he remarked, intrigued.

“Yes, sir,” Babulal confirmed. “I got it from a raddiwala, the one who buys rejected material from houses. But there’s something different about this lamp. It feels like it has a story to tell.”

Samaranand agreed. “Let's see if we can get it to work. Babulal, fetch some kerosene oil.”

By evening, they were sitting in the dark on the balcony of Samaranand’s flat, ceremonially lighting the lamp. Initially, nothing happened. The lamp cast a soft, yellow-blue light. But then, the wall of the balcony began to resemble a cinema screen, showing a half-lit street of Kolkata. A man appeared on the screen, looking around furtively as if trying to escape from someone. Suddenly, another man in a hat and overcoat emerged and shot him point-blank. There was no sound; it was like a silent movie.

Samaranand, a natural problem solver, realized that the lamp had come to him for a reason. “This isn’t a coincidence,” he said. “The lamp used you, Babulal, to reach me. It wants this story to be told.”

Babulal nodded. “What should we do next, sir?”

“We need to find out where the raddiwala got this lamp,” Samaranand decided.

The next day, Babulal returned with information. “The lamp belonged to a poor Bihari family in the Tollygunge slum,” he reported.

They headed to the slum and met the house owner, an 80-year-old man named Chotu. “This lamp belonged to my grandfather,” Chotu explained. “He used to work for a rich businessman, lighting the street lamps.”

Samaranand was intrigued. “In the early 20th century, the Calcutta Municipal Corporation required wealthy people to maintain the street lamps in front of their homes,” he said.

Chotu nodded. “Yes, my grandfather worked for a jute baron named Samaddar. He maintained the streetlight in front of Samaddar’s bungalow.”

Samaranand and Babulal went to the street in North Kolkata where Chotu’s great-grandfather had worked. It wasn’t hard to locate the grand house that once belonged to Samaddar, the jute baron. Samaranand decided to dig deeper into Samaddar’s history.

“Babulal, find out everything you can about that era,” he instructed.

Babulal returned with startling news. “Samaddar wasn’t just a businessman. He was also involved in criminal activities,” he revealed.

Samaranand’s mind raced. “Chotu’s great-grandfather must have witnessed Samaddar’s criminal dealings. That’s why he was killed,” he deduced. “The lamp stored this story all these years.”

Samaranand and Babulal returned to Chotu’s home to share their findings. “Your great-grandfather was a brave man,” Samaranand told Chotu. “He saw something he wasn’t supposed to, and Samaddar’s goons eliminated him to keep him silent. But this lamp, it has kept his story alive.”

Chotu was silent, absorbing the revelation. “I never knew,” he said softly. “But it makes sense now. My father used to say that my grandfather was a proud and honest man.”

Samaranand nodded. “The lamp brought this story to us for a reason. It wanted closure. Now, we know the truth, and we can honor your great-grandfather’s memory.”

The next day, they decided to hold a small ceremony. They took the lamp back to the street where Chotu’s great-grandfather used to work. As they lit the lamp, Samaranand spoke. “This light will now serve as a beacon of truth and justice, honoring the memory of a man who stood by his principles.”

The lamp glowed brightly, as if acknowledging the tribute. For Samaranand, Babulal, and Chotu, it was a moment of closure and respect for the past.

As they walked away, Samaranand felt a deep sense of satisfaction. He knew that the lamp’s story had finally been told, and a forgotten chapter of history had been illuminated once more.

Saturday, May 18, 2024

Amidst the wisdom of the banyan, aspirations take flight with every whispered leaf.

Father: Son, come sit beneath this ancient banyan tree. Let me impart some wisdom that may guide you in your journey through the corridors of power and success.

Son: Of course, Father. What wisdom do you wish to share with me today?

Father: Have you ever heard of the book "The Carpetbaggers" by Harold Robbins?

Son: Yes, I've heard of it. Isn't it a novel about ambition, power, and the cutthroat world of business?

Father: Indeed, it is. But beyond its narrative, lies a lesson in strategy and ambition. In the story, Jonas Cord, the protagonist, rises to power by strategically taking over responsibilities from his superiors.

Son: So, you're suggesting I follow a similar path?

Father: Not entirely. It's about understanding the nuances of power dynamics. You see, my son, ambition is not about simply climbing the ladder; it's about understanding when to seize opportunities and how to navigate the delicate balance of authority and influence.

Son: I see. But how do I go about doing that without stepping on toes or appearing too aggressive?

Father: Ah, that's where subtlety and tact come into play. You must learn to anticipate your boss's needs and excel in areas where they may fall short. By doing so, you position yourself as an invaluable asset, ready to step in when needed.

Son: But won't that make my boss feel threatened?

Father: Not if you handle it correctly. You must always give credit where it's due and never undermine your superior's authority. Remember, it's about collaboration, not competition.

Son: So, essentially, I should aim to be like Jonas Cord, but without the ruthlessness?

Father: Precisely. Learn from his ambition, his drive, but temper it with integrity and humility. And remember, success is not just about personal gain; it's about lifting others up along the way.

As the father imparts his wisdom, a crow swoops down, perching itself on a nearby branch, as if eavesdropping on their conversation.

Crow: Caw! Wisdom comes in many forms, young one. But remember, true power lies not in domination, but in harmony with the forces around you.

Son: Wise words, indeed. Thank you, venerable crow.

Father: Pay heed to the crow's advice, my son. Nature often holds the keys to our understanding of the world.

Son: I will, Father. Thank you for this enlightening conversation.

Father: Now, let us depart from beneath this banyan tree, carrying with us the lessons learned and the wisdom gained.

As they rise to leave, the crow takes flight, its caw echoing through the stillness of the afternoon, a reminder of the timeless wisdom that surrounds them.


Sunday, May 12, 2024

ভূতের ভয়


সকলের অল্প বিস্তর ভূতের ভয় আছে, কেউ স্বীকার করে আবার কেউ করেনা l যেমন আমি ছোট বেলাতে প্রচুর ভূতের ভয় ছিল l
গরমের ছুটিতে যখন মামার বাড়ি বীরভূমের বিপ্রটিকুরি তে যেতাম দিল্লি থেকে সেখানে মনে হত রাতে যেনো আনাচে কানাচে ভূত আছে l একেবারে অজ পাড়া গাঁ পঞ্চাশের দশকে, বিদ্যুৎ আসে নি,হ্যান্ড পাম্প কিম্বা কুয়োর জল, পুকুরে চান, পুকুর পাড়ে শৌচ ইত্যাদি l
দিল্লি থেকে বাংলার ঐ অজপাড়াগাঁ মানে যেন মঙ্গল গ্রহে যাওয়া l কিন্তু আমরা ভাই বোনরা ওখানে যাবার জন্য উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করতাম l বিউলির ডাল, পোস্ত আর ভাত যেনো অমৃত সংগে কখনও কখনও ছোটো চারা পোনা l
যা বলছিলাম ভূত নিয়ে আর আমার ভূতের ভয়, মা ছিল খুবই সাহসী,আমার মেজো ভাইয়ের ভূতের ভয় টয় ছিল না,বাবা নির্বিকার l ঐ গ্রামে মা দাঁড়িয়ে থাকত রাত্তিরে আমি যখন বাড়ির বাইরে পেচ্ছাব করছি তাল গাছের তলায় l মামার বাড়ির উল্ট দিকে একটু দূরে এক পোডো বাড়ি, ভয়ে রাত্তিরে আমরা ওদিকে তাকাতাম না ! অনেকে নাকি ওখানে রাত্তিরে ভূত দেখেছে, আমি কিম্বা, ভাইরা,আমাদের মামারা কেউ দেখেনি l শোনা কথা, তবে রাত্তিরে ওখানে কারুকে যেতে দেখিনি l মামার বাড়ির কাছেই থাকত নির্মল যাকে আমরা নির্মালামামা বলতাম, একটু ডানপিটে, ও সন্ধের অন্ধকারে উদয় হত, তাই আমার ওকে মনে হত খুব সাহসী l ওকে দেখলে শরৎ বাবুর শ্রীকান্ত বইয়ের ইন্দ্রনাথ কে মনে পড়ে যেত l শ্রীকান্ত আর ইন্দ্রনাথের রাত্তিরে নৌকো চড়ে আন্নাদাদির কাছে যাওয়া, যাবার সময় যত রকমের ভূতের হাত ছানি, শ্রীকান্ত ভয় কুঁকড়ে যাওয়া আর ইন্দ্রানাথের বেপরওয়া ভাব l
ক্রমশ অবশ্য ঐ ভূতের ভয়টা কমলো খড়গপুর আইআইটি তে হোস্টেল একা রুমে থাকতে থাকতে l
কিন্ত এলাহাবাদে যখন আইআইটি থেকে ফেরার পথে 5/6 দিনের ব্রেক জার্নি করতাম ঠাকুরমার সংগে সময় কাটাবার জন্য তখন ওপর তলায় জেঠিমার সংগে থাকতাম, রাত্তিরে সিঁড়ির সংগে লাগোয়া প্যাসেজে খাট পেতে বাইরে গরমে শুতাম , ভেতরে পাখার হাওয়া অসজ্জ গরম ! রাতের অন্ধকার আমি একা আর সামনে নিম গাছ, শুনেছি নিম গাছে ভূত থাকে, অমি গাছের দিকে তাকিয়ে আছি, মনে হচ্ছে কি যেনো আছে, পৈতে তে হাত দিয়ে গায়ত্রী পড়তে লাগলাম আর কখন যে ঘুমিয়ে পড়তাম মনে নেই l আমি অবশ্য জেঠিমা কিম্বা কারুকে বলিনি, বোলতে গেলে আমার এটা প্রথম শিকরক্তি, বা বোলতে গেলে আমার ভূতের অনুভব পাওয়া!
চাকরি ইন্ডিয়ান অয়েলে শুরুতে, প্রথমে গৌহাটি রিফাইনারি আর তার পর 11 বছর বারাউনি রিফাইনারি l অবাক হলাম দেখে যে বেশির ভাগ আমার বিহারী বন্ধুরা ভূত বিশ্বাস করে এবং রিতি মত ভয় পায় l আমার সংগে ব্যাডমিন্টন খেলত এক অপারেটর ভার্মা সেতো খেলেই সাইকেলে করে পোঁপা বাড়ির দিকে,আমি ওকে হিন্দিতে বলতাম তোর সাইকেলের পেছনের ক্যারিয়ারে ভূত বসে আছে, ও আমাকে রিকোয়েস্ট করতো ভূতের নাম না নিতে l আমরা যখন ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট খেলতে মুঙ্গের যাই তখন আমরা তিন জন একি রুমে থাকি !
রাত্তিরে ও বললো," চলো রাত মে নহি সোতে!"
আমি হেসে উঠলাম," পাগল হয় ক্যা!"
তখন বললো, " তব হম লোগ লাইট জলা কে শোয়েঙ্গে!"
আচ্ছা পাগলের পাল্লায় পড়েছিলাম তখন মুঙ্ঘেরে l
তবে এখনও কখনো কখনো গা ছম ছম করে l
বারাউনিতে পাওয়ার প্ল্যান্টের শিফট ইচার্জ হিসেবে রাতে একা টহল দিতে হত , টারবাইন হল, বয়লার কন্ট্রোল রুম, বয়লার ওপর থেকে নিচে, শিঁড়ি বে বে অপারেটর সজাগ আছে কিনা দেখা l রাত্তিরে বেশির ভাগ গল্পো অপারেটরদের ভূত দেখা, ঐ সব আগেকার মরে যাওয়া অপারেটর এখনও টহল দেয়! সবার কাছে হনুমান চালিশা, আমিও রেখেছিলাম আমার ড্রয়ারে l
প্রসাদ যে আমার কাছে ইলেকট্রিক্যাল ইনচার্জ ছিল সে আমায় বলতো রিফাইনারি বাইরে খোলা মাঠে অদ্ভুত লাইট ঘোরা ফেরা করতে দেখেছে l
অমি জিগেশ করলাম ওগুলো কি ভূত? ও বললো না ওগুলো পরি! নাও ঠেলা এদ্দিন জানতাম ভূত বলে এক বস্তু কে সবাই ভয় পায় এই পরি আবার কোত্থেকে এলো l
আমি জীবনে কোন দিন মড়া পড়াতে যাই নি, ঐ বারাউনিতে প্রথম l কে কে ভার্মার বাবা কে মোকামা ঘাটে পোড়াতে, গঙ্গার ধারে l বলে মড়া পোড়াতে যাওয়া পুন্নির কাজ l পোড়ানোর পর পুরুত বলল, "পিছে মুড় কে নহি দেখনা ভূত পিছা লেগা l" এটা তো জানতাম না, তাহলে কোন একটা এক্সকিউজ দিয়ে দিতাম ! তখন আমার বিয়ে হয় নি, একা টাউনশিপ ফ্ল্যাটে থাকতাম l স্কুটার চালিয়ে ফ্ল্যাটে ফিরলাম পিছনে না তাকিয়ে l খুব জোর বেঁচে গেছি ভূতের হাত থেকে l 
আমি অবশ্য শিফটে ভূত টুত দেখিনি তবে অপারটের দের জাগিয়ে রাখার জন্য ভয় দেখাতাম !
শুনেছিলাম বাংলার নেতা সুব্রত মুখার্জীর খুব ভূতের ভয় ছিল, রুমে একা শুতো না l
আমার কাছে ভূত সম্বন্ধে একটা প্রশ্ন ঘোরা ফেরা করে! কেউ যখন মরে ভূত হয় তখন কি রকম দেখতে যে বয়সে মারা গেছে সে রকমে নাকি ধরা যাক আমি যাকে ছোট বেলায় দেখেছি আর পরে দেখা হয় নি তবে আমার কাছে এসে তো ঐ ছোটবেলার চেহারা নিয়ে দেখা দেবে,আবার হয়ত যারা জোয়ান বয়সে দেখেছে তারা জোয়ান দেখবে l বেস গোল মেলে ব্যাপার এই ভূত দেখা l
কিন্তু কোন কোন রাত্তিরে মনে হয় ঘরে কেউ আছে !
অস্ট্রেলিয়াতে আমার ছেলের চেনা sharon বলে একজন আছে যার মা এখন মারা গেছেন তিনি নাকি যে কোনো মানুষের চোদ্দপুরুষ কে দেখতে পেতেন তাদের যার ওনার কাছে পরকালের এডভাইস নিতে যেত  .
সব নাকি পর পর লাইন দিয়ে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকে l
কি জানি ওখানে হবে হয়ত কারণ মানুষ কম তাই ভূতের থাকার জায়গা আছে,আমাদের তো 140 কোটির দেশ মানুষের থাকার জায়গা নেই,তার ওপর রঙ্গিয়া,ভূত থাকবে কোথায়?

Saturday, May 04, 2024

Gathering with holographic friends: where nostalgia meets the future in my living room of memories


It was 2080, Ramaswamy Ayyenger was in his drawing room playing with his latest holographic TV in which he was playing a reengineered version of interactive The Big Bang Theory sitcom series,his favourite. He remembered fondly that when he was 10years old in 2023 when he had seen his father would watch it and enjoy the every episode. Since then AI has been evolving in breakneck speed. Now TV series have become interactive with the help of machine learning.His projected holographic figure can become part of the show. His randomly thrown questions would be picked by the characters like real live persons , they will respond.

As the holographic figures of the beloved characters from "The Big Bang Theory" filled Ram's drawing room, he couldn't contain his excitement. "Hey, guys, come on in! Make yourselves at home," he exclaimed, gesturing towards the holographic couch where he had settled himself.

Penny, her holographic image exuding warmth and charm, flashed Ram a playful smile. "Thanks for the invite, Ram. This is quite the setup you've got here," she remarked, eyeing the holographic surroundings with curiosity.

Ram, feeling a surge of nostalgia, couldn't help but grin. "Yeah, I thought it would be fun to revisit some old memories and maybe even make some new ones," he replied, his eyes twinkling with anticipation.

As the conversation flowed, Ram's attention was drawn to Penny's holographic form. "You know, Penny, I always thought you added a special spark to the show. Mind if I join you on the couch?" he asked, extending a virtual hand in invitation.

Penny's holographic figure laughed, her blue eyes sparkling with mischief. "Sure thing, Ram. But just so you know, I don't take up much space," she teased, settling herself comfortably beside him.

Ram couldn't help but chuckle at her remark, feeling a sense of camaraderie building between them. "So, Penny, what brings you here tonight?" he asked, genuinely curious about her holographic presence in his living room.

Penny shrugged, her holographic shoulders lifting in a casual gesture. "Oh, you know, just thought I'd drop by and see what all the fuss is about. Plus, the smell of butter chicken coming from your kitchen is making me hungry," she admitted, her holographic image looking around the room expectantly.

Raj, always eager to please, quickly jumped in. "Butter chicken, you say? Allow me to fetch some tandoori roti to go with it," he offered, his holographic form already halfway to the kitchen before anyone could protest.

Meanwhile, Sheldon, ever the stickler for accuracy, couldn't resist correcting Ram's pronunciation. "Actually, Ram, it's Archimedes' principle, not Archimedis. And yes, I'm well-versed in the concept of buoyancy and fluid displacement," he replied, his holographic image projecting an air of intellectual superiority.

Ram grinned sheepishly, feeling a flush of embarrassment at his mistake. "Thanks for the clarification, Sheldon. I'll be sure to remember that for next time," he replied, his holographic image nodding in acknowledgment.

Just then, Leonard's holographic form appeared in the doorway, a curious expression on his face. "Hey, what's going on in here? I heard there was a holographic party and I didn't want to miss out," he exclaimed, joining the group on the couch with a grin.

Ram greeted Leonard with a warm smile, gesturing for him to take a seat. "Welcome, Leonard! We were just discussing the finer points of Archimedes' principle and the merits of butter chicken," he explained, his holographic image leaning back comfortably against the cushions.

Leonard chuckled, settling himself beside Penny with a sense of familiarity. "Ah, sounds like I've missed quite the conversation. Mind if I jump in?" he asked, shooting Ram a playful glance.

Before anyone could respond, Howard's holographic form appeared out of nowhere, a mischievous grin plastered on his face. "Did someone say party? Count me in!" he exclaimed, plopping down on the couch with a sense of enthusiasm.

Ram couldn't help but laugh at Howard's sudden appearance, feeling a sense of joy at the sight of his favorite characters all gathered together in his living room. "Well, it looks like the gang's all here. Let the holographic party begin!" he declared, raising an imaginary toast to the group.

And as the laughter and banter filled the virtual room, Ram knew that this was a moment he would treasure forever. For in this holographic reunion with his favorite characters, he had found not only entertainment but also a sense of connection and belonging that transcended time and space.

Wednesday, May 01, 2024

The Blame Game: Tales of Shrinking Clothes and Expanding Waistlines



In the chronicles of wardrobe woes, there exists a saga of epic proportions—a tale of deceit, denial, and the expanding waistlines that defy reason. It begins innocently enough, with a slight snugness in the shirt or a suspicious tussle with the trousers. But fear not, dear reader, for this is not a tale of mere weight gain; nay, it is a comedic odyssey of blaming everything but the real culprit—the runaway tummy.

Picture, if you will, our protagonist, blissfully unaware of the impending sartorial storm brewing beneath their belt. With each passing year, as the numbers on the scale creep higher, so too does the fabric tension in their once-beloved garments. But does our hero confront the truth? Oh, heavens no! Instead, they embark on a journey of absurd excuses and fantastical fabric theories.

Behold, the classic case of the cotton conspiracy! Our valiant protagonist, faced with a snug pair of trousers, points an accusatory finger at the innocent fabric, accusing it of nefarious shrinking schemes. "Surely," they proclaim, "it couldn't be my burgeoning belly encroaching upon precious real estate!"

And let us not forget the saga of the shirt size shuffle. As buttons strain and seams protest, our hero steadfastly refuses to acknowledge the undeniable truth. "Muscle gain!" they cry, attributing their newfound girth to Herculean feats of athleticism rather than the more plausible culprit—a penchant for pastries and sedentary Netflix binges.

But fear not, for every hero must face their reckoning. In a moment of clarity (or perhaps desperation), our protagonist confronts the dreaded reality of their expanding waistline. With determination in their heart and a measuring tape in hand, they embark on a quest to reclaim their former glory—or at least fit into those trousers from two holiday seasons ago.

And thus, the battle of the bulge wages on, with our hero vowing to vanquish the villainous spare tire once and for all. Will they emerge victorious, triumphant in their quest for a waistline of yore? Only time will tell, dear reader. But one thing is certain—no amount of cotton conspiracies or fabric fantasies can mask the undeniable truth of the runaway tummy.