Sunday, November 27, 2022

The World Cup Football and me

Though I have been playing football since my school days but was not aware of World Cup Football till I joined Indian Oil Corporation in Gauhati in 1965. I heard my seniors talking about 1966 World Cup which ultimately England won. Brazil had won the previous world cup of 1962 and so we used to discuss about Brazil in officers club. But unfortunately Brazil was out in their group and couldn'treach knockout round. We were keenly following the scores and highlights in radio. Eusebio of Portugal made his name during that world cup. Bobby Charlton of England  was considered as the greatest footballer of England of all time. He was knighted.Bobby Moore was the captain of England team. Both were playing for the World Cup winning team,they defeated Germany 4-2.Though Pele was in full form and Garincha was there in Brazil team but in 1966 World Cup Eusebio was the player everyone was talking about.


Somehow that World Cup of 1966 got permanently etched in my memory because of intense discussion with my seniors.
As TV was yet to come in India so always kept track of World Cup through other news Channels but there was not much discussion among us. During my Barauni days from 1967 to 1978 , 3 World Cups happened but in the refinery there was hardly any discussion.  I could discuss about World Cup with my late brother in law Badalda as he was avid follower of sports. His younger brother Kajal Mukherjee was representing India then and so he was more in the happenings of football.
My first experience of watching World Cup in TV was in Vizag ,that was in 1990. When cable TV has just come in India.
With the launch of cable TV and watching World Cup live changed my perception of football and it's high standards in International erena.
From my school days I have been watching Durand Cup regularly in Delhi and used to be in awe of players like Chuni,PK,Jarnail Singh,Mewlal,Balaram etc but once I watched World Cup I stopped watching Indian tournaments, realized that we are way behind.


I started regularly following World Cup after my retirement in 2003 before that i was watching the finals. I have watched Brazil's last World cup win of 2002. Though Brazil took the World Cup 5 times 1954,1958,1970,1994,2002 but then it somehow couldn't manage to win ,lost in two finals.  Because of the way Brazil team plays this beautiful game so I always backed them . The other day I was watching in YouTube the dribbling moves of Neymar and how he controls the ball between toe and heel to dribble past an opponent.  I have seen Chuni using feign ,body swerve and dodge for dribbling but never this heel and toe tactice.
This World Cup has Ronaldo,Messi,Mbappe, Neymar but Valencia of Ecuador drew my attention. For me the best moment was when Richardson of Brazil scored a goal by bicycle kick against Serbia,which is now considered as the best goal scored in World Cup. This World Cup has already seen Saudi Arabia defeating Argentina and Japan defeating Germany. The opinion of experts is that it's the result of Globalsation of football when players from Japan play European leagues or players from Saudi Arabia too are hired by European clubs. Waiting for more surprises in this World Cup.
But for me it's Brazil as usual. 

Saturday, November 19, 2022

One can learn from anything !

Whenever I am reading a story or watching a movie or for that matter talking to someone I add some knowledge which gets lodged in my subconscious and surprisingly it comes handy for a solution.
While writing this blog the signature tune of the popular movie of Clint Eastwood "The Good ,the  Bad and the Ugly " is playing in Alexa in my dinning hall.
One particular sequence always stands out in my mind of the above movie. Tuco , Eli Wallach, the Ugly of the movie is lying in a bathtub after a grueling horse ride ,enjoying a leisurely bath.A gun man suddenly barges in and starts describing how he was searching for him and now he will shoot him like a dog h etc. Eli Wallach suddenly picks up the gun lying by his side and shoots the man and then he delivers the famous line " when you are going to shoot,shoot don't talk.
Yes that's the lesson when we often waste time in talking all sorts of things instead coming to the point thus waste everyone's time.
Or take for instance the immortal sequence of the film Casablanca where Ingrid Bergman walks in Humphrey Boggart's Cafe  where she finds Sam ( Dooley Wilson) on piano. She delivers the memorable dialogue "Play it again ,Sam for old times sake ". Reluctantly Sam with nudging from Ilsa (Ingrid Bergman ) starts playing "as time goes by.." But then suddenly Rick ( Humphrey Boggart) walks in and shouts at Sam as he had asked him never to play that song. This movie is about a failed love and sacrifice. Lots to learn from Rick's character how he balances adverse situations. 
I have used quite often Sherlock Holmes famous observation in "Silver Blaze " when a prized horse was stolen from the stable.
Gregory ( Scotland Yard detective )  asked Sherlock Holmes is there any other point to which you would wish to draw my attention?"
Holmes: Curious incidence of the dog which didn't bark in the night.
From the above incidence Holmes derived that the intruder was a known person so the dog didn't bark.
Similarly during dealing personal issues my mind automatically scans for something which is not a normal practice. In one organization a letter was shot against a person when that organization has no such practice of writing insinuating letters.
I had discussion with HR and gave my opinion that some kind of grudge is behind such letter. HR with the help of a senior officer handled the issue maturedly.
To conclude I must mention the  learning from the ageless song sung by Doris Day," Que Sera Sera, whatever will be will be !"
Now I follow the message of this song and take the life easy,don't try to interfere and change circumstances, I adjust.

Friday, April 22, 2022

ম্যানেজমেন্ট জ্ঞান

ম্যানেজমেন্ট জ্ঞান
আমাদের হউসিং সোসাইটির মিটিং।কথা উঠল নতুন কর্মচারী চক্রবর্তী কে নিয়ে! করোনার জন্য চাকরি হারানোর জন্য sympathy গ্রাউন্ড এ রাখা হয়েছে।সবাই একমত যে তিনি সুষ্ঠু ভাবে ধোয়া মোছা মেন্টেনান্স কাজ পরিদর্শন করেন কিন্তু হিসেবের কাজ ঠিক মত পারেন না। প্রশ্ন হল ওনাকে এক্সটেনশন দেয়া হবে কিনা। মতা মত নেওয়া হল।
আমি বললাম আমার অভিজ্ঞতা থেকে জানি যদি কেউ আমার কাছে কাজ করে কিন্তু ঠিক করছে না তাহলে দোষ আমার। সবাই সব কাজ করতে পারে না । আমরা যারা ম্যানেজমেন্ট এ আছি তাদের উচিত তাকে সেই কাজ দেয়া যেটার জন্য ও পারদর্শী।দ্বিতীয়ত হয়ত আমরা ঠিক শেখাতে পারিনি অথবা আমাদের এক্সপেক্টশন অনেক বেশি।
ঠিক হল ওনাকে এক বছরের এক্সটেনশন দেয়া আর হিসেবের কাজটা তে মন দেয়া।
যদি ভাল লাগে তবে এরকম ছোট ছোট অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।

Thursday, March 31, 2022

কমল, ভালপাহাড় ও আমি

কমল, ভালপাহাড় ও আমি আমি একটা কর্পোরেট অনুষ্ঠানে গেয়েছিলাম এই বছর আটেক আগে।কলকাতার এক নামকরা হোটেল এর banquet হল। আমার লেকচার ছিল।সবাই রীতিমত অফিস পোষাকে ছিল শুধু একজন বাদে। আমি একটু অবাক হলাম সাদা দাড়িবালা খদ্দরের পাঞ্জাবি ধুতি আর ঝোলা।দেখে ভাবলাম Mr Rath যিনি organise করেছেন তাঁর কোন ধর্ম গুরু হবেন, যোগা টগা নিয় হয়তো জ্ঞান দেবেন। যথা রীতি প্রোগ্রাম প্রদীপ জ্বালিয়ে শুরু হল। বক্তারা নিজেদের বক্তব্য রাখলেন।আমিও আমার ভাষণ দিলাম, আমি তৈরি ভাষণ দি না, তখনকার পরিস্থিতি অনুযায়ী তখন বানিয়ে ফেলি। শেষে ঐ দাড়িবালা ভদ্রলোক উঠলেন, পরিচয় দেয়া হল ডক্টর কমল চক্রবর্তী ভাল পাহাড় থেকে, উনি একটা স্কুল চালান গরিব বাচ্চাদের জন্য পুরুলিয়া তে। সাদা সাপ্টা ভাষায় বাংলা ইংরেজি হিন্দি ।মিশিয়ে লেকচার। বর্ণনা দিলেন কি ভাবে 200 টা বাচ্চাদের পড়াশুনা খাওয়াদাওয়া ওষুদ পত্তর ইত্যাদি ওনার সংস্থা দিনের পর দিন দিচ্ছে। তাছাড়া এক অনুর্বর জমি যেখানে কোন গাছ ছিল না সেখানে তখন 6 লাখ এর ওপর গাছ লাগিয়েছেন।ভাবা যায় না। আমি অবাক হয় শুনছি। পরে ওনাকে ডেকে আলাপ করলাম। জিগেস করলাম এত সব করার জন্য পয়সা লাগে সেটা কি ভাবে জোগাড় করেন। হেঁসে বললেন ওই আপনাদের মত লোকের সাহায্যে হয় যায়। ঠিক মনে নেই কত টাকা তখন দিয়েছিলাম কিন্তু ওনাকে আমার কার্ড দিয়ে বললাম আমার অফিসে আসুন দেখি একটা কিছু করতে পারি কিনা। ওই খান থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হলো। সে বছর 1 লক্ষ টাকা কোম্পানি থেকে দেয়ার বন্দ বস্ত করে দিয়েছিলাম।পরে ওই অংক টা বছরে 2 লক্ষ করা হল, এখন 3 লক্ষ বছরে। তা ছাড়া আরেক কোম্পানি থেকে আটটা শিক্ষকের মাইনে এবং বাচ্চাদের জন্য বই খাতা পেন্সিল ইত্যাদি করে দেয়া হল। কমল যখনই আমার অফিসে আসে তখন আমি কর্পোরেট জগৎ থেকে অন্য জগতে চলে যাই। অফিসে শুভ্রা ওনার সব লেন দেনের কাগজ ঠিক করে দেয়। আমি ইংরেজি তে ছোট গল্প লিখি অনেক দিনের ইচ্ছে ঐগুল অনুবাদ বাংলায় করে বই বার করা। কমল আমার ঐ ইচ্ছাপূরণ করে দেয়। নিজে উদ্যোগ নিয়ে তিন টে বই 2018,2019 এবং 2020র বই মেলা তে প্রকাশ হয়।আমার ইচ্ছে পূরণ ও করে দিল। কমল গত আট বছরে প্রায় আমার অফিসে আসে জমিয়ে আড্ডা হয় না না বিষয় নিয়ে। বই প্রকাশের সময় কমলের সঙ্গে আমার স্ত্রী মাধুরীর আলাপ হয়। বই মেলাতে অভিযান publisher এর সামনে বেশ জমিয়ে আড্ডা। তারপর একটু দূরে আমরা সব কমল, গোপাল, শুভ্রা, মাধুরী চায়ের দোকানে যাওয়া চা আর সিঙ্গাড়া খাওয়া।সে এক অভিজ্ঞতা। মাঝখানে কোভিডের আগে শুভ্রা ভালো পাহাড় ঘুরে এলো কিন্তু আমার যাওয়া হয় উঠলো অনেক পরে।ওর মুখে ওখানকার বিষয় বেশ কিছু জানতে পারলাম এবং ভাবলাম টুক করে ঘুরে আসা যায়। কমল ততক্ষণে 30 লক্ষ গাছ লাগিয়ে ফেলেছে, ঝুড়ি ঝুড়ি এয়ার্ড আর লাইন কর বই মেলা ডিস্ট্রিক্টে ডিস্ট্রিক্টে attend করছে। শুধু ভাবি লোকটা টাটার ভাল চাকরি ছেড়ে দিয়ে ভব ঘুরে চেহারা নিয়ে ওই রকম একটা রুক্ষ জায়গাটা কে গাছ পালা লাগিয়ে চেহারা পাল্টে দিয়েছে!বিয়ে করলনা, জীবনটা অন্যদের জন্য উৎসর্গ করে দিল।আর আমরা শুধু নিজেদের এবং নিজের বন্ধু বান্ধব relative নিয়েই ব্যস্ত, কতটা সময় আমরা দি গরিব দুস্থ দের জন্য। আমরা বেশির ভাগ আপনি বাঁচলে বাপেরনাম প্রিন্সিপলে চলি। আলাপ হবার পর থেকে আমি চেষ্টা করতে লাগলাম যাতে আমি কমলের কাজে আসতে পারি, ওই ওর পাওয়া পুণ্যের কিছুটা যদি পাই এই আরকি। শেষ মেষ 2021 নভেম্বর মাসের শেষ দিকে যাওয়া স্থির হল। আমি,মাধুরী, শুভ্রা আর আমার ড্রাইভার গোপাল। হৈ হৈ করে ইস্পাত চেপে ঘাটশিলা আর তারপর কমল যে গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল সেটা চেপে 40 km রাস্তা।লাঞ্চ অব্দি পৌঁছেগেলাম। মনে মনে ভাল পাহাড়ের একটা ছবি এঁকে ছিলাম কিন্তু মিলল না। আসা করিনি ঐ রকম man made ফরেস্ট, সে এক বিশাল ব্যাপার। তারপর compound এ হাঁস মুরগি রাজ হাঁস ব্যস্ত হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে এদিক ওদিক, সম্পূর্ণ স্বাধীনতা।আমরা খাচ্ছি ওরা টেবিল চেয়ারের তলায়।এ যেন জন্তু জানোয়ার সব এক। ওদের জন্য আলাদা করে জল খাবার সব রাখা। আমরা রুমে জিনিস রেখে ফ্রেশ হয়ে খেতে বসলাম।সেকি কমল নিজে আমাদের রুমে চেক ইন করালো আবার দেখছি ওই আমাদের ভাত ডাল তরকারি বেড়ে দিলো।কমল একাই আমাদের দেখা শুনা করে যাচ্ছে হাঁসি মুখে, মাঝে মাঝে ফাজলামিও করছে।এ যেন নিজের বাড়িতে বসে খাওয়া ।মোটা সেদ্দ চালের ভাত, টেল টেলে ডাল আর মাছ সবজি, কিন্তু ঐ পরিবেশে ওটাই সাভাবিক তাই বেশ তৃপ্তি করে খেলাম আমরা সবাই। বিকেলে আর পরের দিন সকাল মানুষের তৌরি জঙ্গল ঘুরে দেখা।শুধু গাছ আর গাছ, কত রকম। কমল নিজে গাছ গুলোর চারা নানা জায়গা থেকে জোগাড় করছে।দিশি বিদেশি সব রকম। শুভ্রা তার একটা লিস্ট বানিয়ে ফেলল। আমরা বেশির ভাগ সময় dinning টেবিলে অথবা canopy র নিচে কমলের সঙ্গে আড্ডা মেরে কাটিয়ে দিলাম।কমল নিজের স্মৃতির ঝুড়ি থেকে নানা রকম সেলেব্রিটি র গল্প,তারপর সুনিল, শীর্ষেন্দুর, সমরেশ মজুমদারের আলাপের গল্প। গল্পে সিনেমা স্টার রাও এসে গেল। অপর্ণা, মিঠুন তাদের গল্প। এদিকে চার ডাক্তার তাদের বাচ্চাদের নিয়ে পৌঁছলো। তারা ঐ গরিব বাচ্চাদের হেলথ চেক up, স্পেশাল লাঞ্চের বন্দোবস্ত করে দিল। মাঝে মাঝে কমলের কাছে ফোন আসে ঘর খালি আছে কিনা গেস্ট হাউসে। এই সব দেখে আর দু দিন থেকে বুঝলাম লেখা পড়া জানা সুস্থ মস্তিষ্কের লোক আজকাল সার্থ ছাড়া কোন মনের মত মানুষ পায় না সুখ দুঃখের গল্প কিংবা কিছু পড়াশুনা নিয়ে গল্প। পলিটিক্স, সিনেমা, ক্রিকেট ছাড়া যে অন্য বিষয় নিয়ে গল্প করা যায় সেটা কমলের সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর বুঝতে পারে।কেমন করে দুটো দিন কেটে গেল বুঝতে পারলাম না। ওখানে গিয়ে আরেক কমলকে পেলাম। ওকে আমি মজা করে বলি তোমার কোন রূপটা এখন দেখছি। বুঝলাম ভালোপাহাড় মানে ।গাছ কমল আর ওই বাচ্চারা। এত খ্যাতি পুরস্কার পাওয়া লোকটা ওই রকম সাদা সাপ্টা জীবন জাপন করে,কোন অহংকার নেই, নিজেকে উৎসর্গ করে দিল অন্য দের জন্য।সকাল থেকে চিন্তা 60 টা গরুর খাওয়া, গেস্ট হাউসের লোকদের দেখা শুনা, বাচ্চাদের পড়া শুনো খাওয়া, ওষুধ পত্র, গাছের চর্চা, একেবারে নিঃস্বার্থ ভাবে। তার মধ্যে আবার উপন্যাস, ছোট গল্প, কবিতা লেখা। পুজো সংখ্যার জন্য লেখা, ধারাবাহীক ম্যাগাজিনের জন্য লেখা। আশ্চর্য আছেতো মাত্র 24 ঘন্টা রোজ। তারপর ঘুরে ঘুরে টাকা তোলা ঐ এস্টাব্লিশমেন্ট কে চালিয়ে রাখার জন্য। আমি আমার জীবনে এমন মানুষ দেখিনি এবং শুনিওনি। আমার সেলাম কমল তোমাকে। আমি পাসে আছি।

Saturday, March 05, 2022

দুর্গা

দুর্গা
.....

আমার স্কুলের বন্ধু দুর্গা। খুব শৌখিন, চুলটা  পাফ করা।ও দেবানন্দের ভক্ত ছিল, কোনো সিনেমা মিস করত না। 
কিন্তু প্রচুর গুল মারত। অনেকে ওকে গুলবাজ দুর্গা বলত। ক্লাস 8 অব্দি আমার পাসে বসত।
অনেক মজার ঘটনা আছে কিন্তু আমি ওইগুলো এখন লিখতে চাই না।
আমি engineering পাস করে চাকরি করতে Indian Oil র রিফাইনারি তে গেলাম।ও এক স্কুলে ল্যাব আসিস্টেন্টর চাকরি নিলো আর বিকেলে দিল্লির কালী বাড়িতে জুয়া খেলতো।হ্যাঁ আমি দিল্লির Reading Road র Raisina School থেকে পাস করি।
অনেক দিন পর ওর সঙ্গে কালী বাড়িতে দেখা। ও আমাকে ওর বাড়ি নিয়ে গেল। ও আমাকে ওর পাসপোর্ট দেখালো এবং একটা ম্যাপ। ও বলল ও হিচ হায়েক করে খাইবার পাস দিয়ে জার্মানি যাবে। আমি ভাবলাম দুর্গা আমাকে মুরগি বানাচ্ছে, as usual গুল দিচ্ছে। আমি তখন ভাবতে শুরু করলাম ওকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, হয়ে যেতে হবে, ভাবা যায় না।অনেক ক্ষন ওর সঙ্গে অন্য সব বিষয়ে আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফিরলাম ।
তারপর বেশ কয়েকটা বছর কেটে গেল।
এক পূজায় দিল্লি গেলাম, আমরা কালী বাড়ির খুব কাছেই গভেরমেন্ট কোয়ার্টার উইলসন স্কোয়ারে থাকতাম, আমার বাবা তখন ও retire করেনি।
কালী বাড়ি গেলাম স্ত্রী কে নিয়ে পূজ দেখতে।
মা গেটের কাছে দাঁড়িয়ে কারো সঙ্গে কথা বলছে,ঠিক চিনতে পারলাম না।
মা আমাকে ডেকে বলল " দেখ একে চিনতে পারিস কিনা" 
দেখলাম একজন মোটা দড়ি বালা লোক, আমার দিকে তাকিয়ে হেঁসে উঠলো, ওই typical হাঁসি তে ধরে ফেললাম ও আমার পুরনো বন্ধু দুর্গা!
ও বলল আয় তোকে আমার German Girl friend র সঙ্গে আলাপ করিয়ে দি।
আলাপ হল, তার মানে ও শেষ অব্দি Germany গেছে ওর ওই hitch hike প্লান অনুযায়ি। 
ও স্বীকার করল এবং এও বলল যে ওই দেশের নিয়ম অনুযায়ী ও ওই German মেয়ের জন্য সিটিজেনশিপ পায়।
সেদিন ও আমাকে গুল মারে নি,ওই খাইবার পাস দিয়ে hitck kike করে জার্মানি পৌঁছায়।
ওকে জিগেস করেছিলাম 1972র Munich Olympics দেখেছে কিনা। ও হেঁসে বলল ও ত ম্যানুয়াল labour এর কাজ করে,ও অলিম্পিকস এর সময় বরফ ভাঙছিল। অন্য বিদেশ ফেরা লোকদের মত ও আমাকে কোন বড়লকি চাল মারে নি,যা সত্যি তাই বলেছে।
এর পর আর দুর্গার সঙ্গে দেখা হয় নি।


Monday, February 28, 2022

মুখপুড়ি

 লেকের চারপাশে আমার সকালের হাঁটা শেষ করে, সিআরসির কাছে গেট থেকে বেরিয়ে এলাম, গোপাল গাড়ি নিয়ে আসল, আমি এক ভিখারির দিকে হাঁটা দিলাম। প্রতিদিন আমি সেই ভিখারি এবং একজন  মহিলাকে কিছু টাকা দি। সে দিন সেই মহিলা আসে নি। আমি ওই ভিখারিকে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। সে জানাল, "আমরা দুজনেই গতকাল এক ভদ্রলোকের কাছ থেকে 500 টাকা পেয়েছি, এখন ও ওই টাকা দিয়ে বেহুঁশ কোথাও পড়ে আছে।"
"বেহুঁশ পড়ে থাকা" এই শব্দগুলি আমাকে প্রায় 20 বছর পিছনে নিয়ে গেল।
তখন আমি কলকাতায় পোস্টেড ছিলাম এবং রোজ সন্ধ্যায় বাড়ির পথে সান্ধ্য ভ্ৰমনের  জন্য রবীন্দ্র সরোবরে থামতাম। এটা এমনই এক সন্ধ্যা ছিল যখন আমি মেনোকা সিনেমার বিপরীতে লেকের চারপাশে হাঁটছিলাম। হঠাৎ আমি অনুভব করলাম যে কয়েকটা বদমাশ আমাকে অনুসরণ করছে, সেই সময় লেকটি এখনকার মতো ঘেরা ছিল না। আমি টের পেলাম যে ওরা ছিনতাইকারী, আমি ওই রকম এক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু হঠাৎ ট্রাউজার পরা এক মহিলার মুখ  বিড়ি , চুলগুলি শক্ত করে বাঁধা খোঁপা  থেকে চুলের কাঁটা কে ছুরির মত ধরে সে ঐ বদমাশদের দিকে কট মোটিয়ে তাকিয়ে বলল, “ফিরে যাও
! এনাকে  ছেড়ে দাও!"
আমি থেমে গেলাম, চোখ বড় বড় করে দেখছিলাম সেই tableaux টা। আধো অন্ধকারে উন্মোচিত সেই দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। রাস্তার বাতি থেকে বিচ্ছুরিত আলো এক মায়াবী পরিবেশ তৈরি করেছে! সে একজন যোদ্ধার মত ছিল তার ওজন তার বাম পায়ে ছিল এবং সামান্য সামনের দিকে বাঁক ছিল, সে তার লম্বা চুলের পিনটি টেনে নিয়েছিল এবং তার মুঠিতে ধরেছিল, আমি ভাবছিলাম এযে এক দেশি Modesty Blaise । তার এই অপ্রত্যাশিত চেহারা সেই রফিয়ানদের স্তব্ধ করে দিল, আমি পুলিশকে খুঁজতে লাগলাম। আমি পুলিশের জন্য চিৎকার করেছি কি না ঠিক মনে নেই কিন্তু পায়ের আওয়াজ এবং whistle শুনেছি। ওই বদমাশরা তাকে বাংলায় গালা গাল দিতে দিতে পালালো, তারা তাকে মুখপুড়ি বলে ডাকছিল। সে আমাকে একটি কৃতিম স্যালুট দিয়ে  বাতাসে অদৃশ্য হয়ে গেল।
সেদিনের পর থেকে আমি লেকের চারপাশে আমার সন্ধ্যায় হাঁটা বন্ধ করে দিলাম। যখন আমি মেনোকাতে একটি ইংরেজি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম তখন আমি আবার ট্রাউজার পরা সেই মহিলার মুখোমুখি হয়েছিলাম। আমি দেখতে পেলাম যে সে black এ টিকিট বিক্রি করছে, আমি বুঝতে পারি যে সে সেই সিনেমা হলের চারপাশে টিকিট বিক্রি করা সমস্ত ছেলেদের রিং লিডার ছিল। সে আমাকে চিনতে পারেনি কিন্তু আমি পারলাম, সেই দুর্ভাগ্যজনক সন্ধ্যার ঘটনাটি আমার মনে চিরতরে গেঁথে গিয়েছিল।
আমি রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে তার কাছে গেলাম, আমি টিকিট খুঁজছি ভেবে সে এগিয়ে এল।
-না, না, আমি কোনো টিকিট চাই না কারণ আমি আগে থেকে টিকিট কিনেছি কিন্তু সেই সন্ধ্যায় আমাকে বাঁচানোর জন্য আমি তোমাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
সে আমার দিকে ঘনিষ্ঠভাবে তাকালো এবং তারপর নির্লিপ্তভাবে বললো, “ওহ! এটা কিছুই না! এইসব বদমাশদের কারণে এই সিনেমা হলে সন্ধ্যার শো করতেও মানুষ আসতে ভয় পায় আর মানুষ না এলে আমরা আয় করব কী করে? তাই আমি এবং আমার দল কড়া নজর রাখি!”
-সেদিন আমি তোমাকে ধন্যবাদ দিতে পারিনি কিন্তু তোমার সেই কাজের জন্য তোমাকে পুরস্কৃত করতে চাই।
আমি তাকে 50 টাকা দিয়েছিলাম এবং সে অপ্রস্তুতভাবে তা গ্রহণ করেছিল।
হিন্দি সিনেমার নাম মনে নেই যার জন্য পরে আরো একবার মেনকা তে যাই , কাউন্টার থেকে টিকিট কিনেছিলাম। হলের সামনে "হাউসফুল" বোর্ড টাঙানো ছিল। চায়ের দোকানে তার খোঁজখবর নিলাম। চায়ের দোকানের ছেলেটি বলল, তুমি মুখপুড়ি কে খুঁজছ, সে গতকাল বেশ কিছু টাকা আয় করেছে কারণ এই সিনেমা হিট হয়েছে, সে এখন মদ খেয়ে বেহুঁশ!”

ইতিমধ্যে, আমি বদলি হয়েছি এবং তারপর অবসর নিয়েছি, আমার মেনোকা সিনেমা হলে যাওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না, 8 বছর আগে লেকের চারপাশে আমার মর্নিং ওয়াক শুরু না করা পর্যন্ত তাকে দেখিনি।
কিন্তু যখন আমি সেই ভিক্ষুক মহিলাকে প্রথম দেখলাম যার মুখে এবং হাতে সাদা ছোপ রয়েছে আমি এক মুহুর্তের জন্য হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম কারণ আমি সেই মুখটি কোথাও দেখেছি। আমি আমার ড্রাইভার গোপালকে তার সম্পর্কে জানতে বললাম।
পরে গোপাল আমাকে জানায় যে সে সেই মুখপুড়ি মেয়ে যে এখন পাগলী নামে পরিচিত, বিশ বছর আগে সে মেনোকা সিনেমা হলের ডনের মতো ছিল, থিয়েটারের সিনেমার টিকিটের কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণ করত।
আমি অবশ্যই তাকে সেদিনের কথা মনে করিয়ে দিইনি তবে প্রতিদিন তাকে টাকা দিতে শুরু করেছি। সে এখনও তীক্ষ্ণ, সে আমার গাড়ি চেনে এবং যখন সে আমাকে লেকের গেট থেকে বেরিয়ে আসতে দেখে সে গোপালকে গাড়ি নিয়ে আসার জন্য আদেশ কণ্ঠে ডাকে। আমি তাকে গেটে গার্ড এবং পুলিশ সদস্যদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। এমনকি কটূক্তির মধ্যেও সে সর্বদা হাসিমুখে থাকে এবং সেই হকার, ড্রাইভার, গার্ডদের সম্পর্কে মন্তব্য করতে থাকে।
এরই মধ্যে গোপাল গাড়ি নিয়ে এলো এবং আমি ভিতরে উঠলাম, জানালা দিয়ে পাগলির ফাঁকা জায়গার দিকে তাকালাম এবং মুখপুড়ির প্রাণবন্ত তরুণ মুখের সাথে তা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম যা আমি 20 বছর আগে দেখেছিলাম।

Monday, February 21, 2022

Zero mile

Zero mile …………….. The man sitting in front suddenly whipped out his revolver and aimed it on the forehead of the guy sitting in front and asked, “Bol tere sath kya saluk kiya jay , mar diya jay ya chod diya jay?” The popular Hindi song of those days from the film Mera Gaon mera desh "Mar Diya jayey ya chod diya jayey, bol tere sath kya saluk kiya jayey" was playing loudly in another dhaba at a distance. This was the scenario on that night at Zero mile near Mokameh bridge of Bihar. The roads going to Delhi and Assam cross at this Zero mile. This incidence is of late 60s when near Zero miles both sides of the roads were scattered with dhabas for long distance truck drivers. That night two guys unknown to each other were taking dinner in a dhaba sitting opposite to each other. When hearing the song “mar diya jay “one of them who was drunk pulled out his revolver and held on the guy in front. Then another drunk sitting somewhere near by shouted,”Mar diya jay..”’ “Bam “the drunk shot the guy in front. Later on of course, the police came and rounded up the culprit, well that was Begusarai district where in Indian Oil Corporation, Barauni Refinery I spent 11 years. Our refinery township is about 6 or 7 kms away from the zero mile and often during my bachelor days me with my friends would go there late in the night for dinner in those dhabas. But that incidence stunned us, we stopped our adventurous dinner visits. It was like wild wild west. One Kamdeo Singh used to rule the Nepal-Bihar border for illegal ganja (marijuana) trade. He was so daring that during election time his jeep with him and rifle wielding goons would visit the polling booths openly threatening the voters. Then of course, Seshan was yet to appear with his electoral reforms. Kamdeo Singh was described thus in an article in India Today in 2014. .... Quote The man is as elusive as the Yeti. He carries an award of Rs 10,000 on his head. Police has been ordered to shoot him on sight. He maintains an army of gunners, mercenaries, and smugglers. This may sound like a fictional character out of a Zane Grey thriller, but it isn't. The man is Kamdeo Singh, his activities are centered in the Begusarai district of Bihar, and his hobby is to fight communists and 'bless' politicians during elections. Unquote ........... The refinery township was like an oasis in that jungle ruled by ruffians. We were lucky that nothing untoward happened in our township. We too avoided frequenting Begusarai town. As I was captain of Refinery football team, so during football season I had to confront some ruffians during the matches with local outfits. I was lucky to have Gopal Prasad Singh a refinery employee and part time Ganja smuggler as my sidekick in the football team; he acted as my bodyguard. Gopal’s trucks used to carry ganja for Kam Deo Singh. After I left, Indian Oil Gopal’s service was terminated from refinery, as there was police warrant against him. I must admit that Barauni Refinery posting made me a professional engineer from a college student and made me bold to face any kind of challenge, be it physical or mental. I guess rubbing shoulder with toughs transformed me. In 1978 i left Indian Oil Corporation for BHEL. I was offered New Delhi posting but i opted for project posting. My project stint started with Panipat posting in 1978 and then Singrauli Superthermal Power Station of NTPC, Wanakbori Thermal Power Station of Gujrat Electricity board,Vizag steel plant, Farakka Superthermal Power Station of NTPC. From 1978 to 1994 I was posted at project sites and faced adverse conditions day and night. My only son went through 8 different schools as i was moving with my family. The Barauni experience came handy in tackling technical and human issues. Yes i was confrontd by toughs in every site but it hardly deterred me in carrying out my task towards the set goal. It is true that " The tough time does not last but tough people do."

Monday, February 14, 2022

ওপার বাংলা


ওপার বাংলা

দিলাওয়ার হঠাৎ ঘুরে আমার দিকে দৌড়ে এসে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তার চোখে জল, আমিও সেই রাতে ঢাকায় নীরবে কেঁদেছিলাম। সেই রাতের ছবি আমার মনে চিরতরে গেঁথে আছে। আজ 19 বছর পরেও আমার কাছে মনে হচ্ছে এটি গতকালই ঘটেছে।

আমি কিভাবে বাংলাদেশে এলাম এবং কে এই দিলাওয়ার?

আমি সেখানে ব্যক্তিগত সফরে যাইনি তবে ব্যবসার সুযোগ অন্বেষণ করতে BHEL-এর আরও দুই সিনিয়র অফিসারের সাথে সেখানে গিয়েছিলাম। সেই দিনগুলিতে আমি BHEL-এর পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলের নেতৃত্বে ছিলাম, BHEL-এর দু'জন সিনিয়র অফিসারের মধ্যে একজন ছিলেন আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রয়াত কান্দাস্বামী, তিনি বয়লার বিশেষজ্ঞ ছিলেন।

ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের আমাদের ফ্লাইটটি কলকাতা থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে এক ঘণ্টারও কম সময় নেয়, আমরা যখন আমাদের জলখাবার শেষ করছি তখন বিমানটি ঢাকার কাছে আসার ঘোষণা করলো। তখন ঢাকা বিমানবন্দর ছোট ছিল কিন্তু আমরা বাংলাদেশে অনেক অভ্যন্তরীণ বেসরকারী এয়ারলাইন্স পরিচালনা করতে দেখেছি, মনে রাখবেন এটি 2000 এবং ভারতে প্রাইভেট এয়ারলাইনগুলি এখনও উড্ডয়ন করতে পারেনি।

ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমসের মাধ্যমে চেক আউট করার  বেশ সুচারুভাবে ঘটেছিল। আমরা বাংলাদেশের মুদ্রা বিক্রিকারী দালালদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়েছিলাম। প্রাথমিকভাবে আমরা আমাদের ডলার বিনিময় করতে অনিচ্ছুক ছিলাম কিন্তু আমার ভারতীয় রুপির সাথে সুযোগ নিতে আমার আপত্তি ছিল না যা তারা তখন প্রচলিত হারে সহজেই বিনিময় করত, তখন বাংলাদেশ টাকায় এক ভারতীয় রুপি থেকে 1.40 টাকা ছিল। এখন অবশ্যই বাংলাদেশের টাকা মূল্যবান হয়েছে, ভারতীয় রুপির বিপরীতে এটি প্রায় 1.15 টাকা বা তার ও বেশি।

আমরা বিমানবন্দর থেকে একটি ক্যাব নিয়ে রওনা হলাম আমাদের হোটেল রূপসী বাংলার দিকে যা ঢাকা ক্লাবের খুব কাছে । চেক ইন করার পর আমরা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বোর্ড অফিসের দিকে রওনা দিলাম। রেশপশনিস্ট আমাদেরকে চেয়ারম্যানের অফিসে নিয়ে গেল। ভবনের দেয়ালে শ্রমিক ইউনিয়নের পোস্টার সাঁটানো  তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে, ঠিক তখনকার দিনে আমাদের বাংলার অফিসের মতো। সেই পোস্টারগুলো দেখে মনে হলো আমি নতুন সচিবালয় ভবনে ডঃ শঙ্কর সেনের অফিসের দিকে হাঁটছি, একটা দেজাভু, দুই বাংলার কিন্তু দেয়ালে পোস্টার একই সংস্কৃতি।
বাংলাদেশের চেয়ারম্যান তাদের 2x200 মেগাওয়াট চট্টগ্রাম প্ল্যান্ট চালানোর জন্য BHEL-এর সাহায্য চেয়েছিলেন, যেটি তখন চীনা দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল কারণ তারা  সেই প্ল্যান্ট সরবরাহ করেছিল। প্ল্যান্টটি চালানোর জন্য আমাদের বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে, অন্যথায় তারা প্ল্যান্টটি চালু রাখতে চীনকে প্রচুর অর্থ প্রদান করছে। সেখানে তিনি আমাদের সাথে ব্যবস্থাপক মিঃ দিলওয়ার খানের পরিচয় করিয়ে দেন যিনি আমাদের থাকার সময় আমাদের গাইড ছিলেন।

মিটিংয়ের পর দিলওয়ার আমাদের অফিসের কাছে একটি রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবারের জন্য নিয়ে গেলেন, রেস্টুরেন্টে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে আমি বেশ আবেগী হয়ে পড়লাম। আমাদের মধ্যাহ্নভোজ শেষ করে, আমরা শহরের ঘূর্ণিঝড় ভ্রমণের জন্য বেরিয়ে পড়লাম। 2000 সালে সেই শহর সম্পর্কে প্রথমে আমার মাথায় যা আসে তা হল সাইকেল রিকশা, রিকশা দিয়ে জ্যাম করা প্রধান সড়ক। সন্ধ্যা নাগাদ শামুকের গতিতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পৌঁছাতে পারলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশের ফুটপাথগুলি রাস্তার ধারে বসে ছাত্র ছাত্রী ভরা, আমরা ভিতরে যাইনি, বাইরে থেকে এটি আমাকে এমন অনুভূতি দিয়েছিল যেন আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছি সেই হাত ধরে থাকা ছাত্র ছাত্রী ভরা,বিড়ি সিগারেট চা খাচ্ছে।
পরদিন সকালে ঢাকা বিমানবন্দরে দিলওয়ারের দেখা, আমরা বিমান বাংলায় চট্টগ্রাম যাচ্ছিলাম। চট্টগ্রামে পৌঁছে আমরা আমাদের হোটেলের দিকে রওনা দিলাম। আমরা আমাদের লাগেজ জমা, ফ্রেশ আপ, পাওয়ার স্টেশনের জন্য একটি গাড়িতে রওয়ানা। তেল ও গ্যাস চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত, এটি একটি বড় নদী যা মিজোরাম থেকে উৎপন্ন হয়েছে এবং বঙ্গোপসাগরে শেষ হচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দরটি দেখতে ডায়মন্ড হারবারের মতো। দিলাওয়ার আমাদের জানান, চীনারা কর্ণফুলী নদী দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি জাহাজে করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে। প্ল্যান্ট স্থাপনের সময় তারা তাদের ব্যবহার করছিল যে পাত্রে তারা পাওয়ার প্ল্যান্টের যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছিল সেখান থেকে পোর্টা কেবিন তৈরি করেছিল, অবশেষে তারা সেই কেবিনে স্থানান্তরিত হয়েছিল ,ওদের কর্মচারীরা ওই পোর্টা কেবিনে থাকত। দিলাওয়ার আমাকে এই সব টিট বিট সম্পর্কে অবগত রাখল, গ্রুপে আমি একমাত্র বাঙ্গালী ছিলাম যার  সাথে  সে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিল। ধীরে ধীরে আমি এবং সে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তুলতে শুরু করি। সে আমাদের প্লান্টের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের অফিসে নিয়ে গেল। আমাদের চিফ নিজেই তার দল নিয়ে পাওয়ার স্টেশন  দেখিয়েছিলেন। আমাদের বলা হয়েছিল যে চাইনিজ অপারেটিং স্টাফরা সেই পোর্টা কেবিনে থাকে যেগুলি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয়, যে কোনও জরুরী সময়ে সমস্ত চীনা কর্মীরা দিনের বা রাতের যে কোনও সময় প্ল্যান্টে ছুটে যায়। আর্মি ব্যারাকের মতো দেখতে কন্ট্রোল রুমে নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানে চীনা অপারেটররা তাদের বাংলাদেশী প্রতিপক্ষের সাথে ছিল, বাংলাদেশ আধাসামরিক বাহিনী রাইফেল নিয়ে নজরদারি করছিল। আমি চিফ ইঞ্জিনিয়ার কে জিজ্ঞাসা করলাম কেন কঠোর নিরাপত্তা ছিল, তিনি জানালেন অতীতে নাশকতার চেষ্টা হয়েছে, বাংলাদেশ তখন বিদ্যুতের অনাহারী দেশ ছিল তাই সতর্ক। আমরা বয়লার, টারবাইন এবং সহায়কগুলি দেখেছিলাম, আমরা সেই সরঞ্জামগুলির সাথে পরিচিত ছিলাম কারণ চীনারাও রাশিয়া থেকে প্রযুক্তি নিয়েছিল যারা BHEL র প্রাথমিক প্রযুক্তিগত সহযোগী ছিল৷

রাউন্ডের পর আমরা তাদের  গুস্ট হাউসে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম। এটি ছিল সাধারণ ভাত, ডাল, আলু ভাজা, একটি চরচরি এবং মুরগির তরকারি। আমি সেই চিকেন কারি খেয়ে বোল্ড আউট হয়েছিলাম, পরবর্তী তারিখে আমি তাদের ইন্সট্রুমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এক রায়কে ইমেলের মাধ্যমে অনুরোধ করেছিলাম আমাকে রেসিপিটি পাঠাতে। আমি তার কাছ থেকে পাওয়া সেই রেসিপিটি   আমার বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করেছি।


আমদের পা্ওয়ার পলানটের কাজ শেষ কোরে পরের দিন দিলা্ওয়ার সহ বাংলা বিমানে চাটগাঁ থেকে ঢাকা রওয়ানা। জাহাজটা ওমান থেকে আসছিলো,ওমান ফেরতা বাংলাদেশি শ্রমিক ভরা।
আমি লক্ষ্য করেছি যে প্রায়ই সেই শ্রমিকরা উঠে জানলা দিয়ে তাদের নিজ দেশ দেখার জন্য তাকাছিল,যেমন ট্রেনের কামরা থেকে বাইরে ছুটন্ত গাছ, বাড়ি, মাঠ ইত্যাদি দেখা যায়।2 বছর বা তারও বেশি সময় থাকার পরে দেশে ফিরে আসার একটি অস্থির উত্তেজনা ছিল! তাদের না না রকম ডিমান্ড যা এয়ারহোস্টেসদের ব্যাস্ত করে রাখছিল । এয়ারহোস্টেসরা তাদের বুদ্ধিমত্তার সাথে অর্ধশিক্ষিতজনতাকে সামলাচ্ছিল। ওই শ্রমিকরা উচ্চস্বরে চিৎকার করে বলেছিল, ‘‘আমরা যা পয়সা বাড়িতে পাঠাই তা দিয়েই বাংলাদেশ চলে তাই আমাদের যত্ন নিন!’’

আমি বিস্মিত হয়েছিলাম এবং দিলওয়ারকে এই বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে তার মতামত জানতে চেয়েছিলাম, তিনি স্বীকার করেছিলেন যে তারা ঠিক বোলছিল কারণ বাংলাদেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা আয় ছিল বিদেশী জমিতে কাজ করা তাদের শ্রমের মজুরি প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে। আমার পাশে বসা লোকটি আমাকে তাদের ইমিগ্রশান ফর্ম পূরণ করতে তাকে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করেছিল,আমি সহজেই রাজি হোলাম, যখন আমি শেষ করছি তখন দেখি তারপর আরও কয়েকটি ফর্ম আমার সামনে রাখা হয়েছিল, বুঝলাম আসে পাসের যাত্রিরা তাদের ফর্ম আমার দিকে ঠেলছিলো। আমি সেই ফর্মগুলি পূরণ করতে আপত্তি করিনি, আমি বরং এটি উপভোগ করছিলাম,
আমি অনেক ব্যক্তিগত বিবরণ জানতে পারছিলাম এবং বাংলাদেশের গ্রামে তাদের কুঁড়েঘর কল্পনা করার চেষ্টা করছিলাম। দিলাওয়ারও ফরম পূরণে ব্যস্ত ছিল এবং মাঝে মাঝে কোন মজার শব্দের নাম পেলে সে তার কনুই দিয়ে আমাকে ধাক্কা দিত। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ফ্লাইট চলাকালীন আমাদের বন্ধুত্ব পরিপক্ক হয়।

আমরা ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে এলাম, আমি দিলাওয়ার আর কান্দাস্বামী। হোটেলে যাওয়ার আগে আমি দিলাওয়ারকে অনুরোধ করেছিলাম আমাদের একটি বাজারে নিয়ে যেতে যাতে আমি আমার স্ত্রীর জন্য একটি জামদানি শাড়ি কিনতে পারি। তিনি আমাদের ঢাকার নিউ মার্কেটে নিয়ে গেলেন, হ্যাঁ সেখানেও নিউমার্কেট আছে! তিনি আমাকে কোনো টি-শার্ট না কেনার জন্য সতর্ক করেছিলেন কারণ বেশিরভাগই সেই সময়  ভারত থেকে আসত, এখন অবশ্যই বিদেশী ব্র্যান্ডের রিজেকটেড মাল সেখানে সহজেই পাওয়া যায়। একটা জামদানি শাড়ি কিনলাম।

মার্কেটিং শেষ করে আমরা দিলাওয়ারকে নামানোর জন্য এগিয়ে গেলাম, ঢাকায় শেষ রাত ছিল। এই ৪ দিনে দিলওয়ার খুব কাছের বন্ধু হয়ে গিয়েছিল, আমরা অনেক ব্যক্তিগত তথ্য আদান-প্রদান করেছি।

কয়েক মিনিট পর তিনি গাড়িটিকে রাস্তার পাশে থামাতে বলেন। সে  নেমে গেল সামনের সিট থেকে,আমি হাত নেড়ে বিদায় জানাতে পিছনের সিট থেকে বেরিয়ে এলাম। পরের দিন সকালে আমরা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছি, তাই চূড়ান্ত বিদায়।

করমর্দনের পর সে তার স্যুটকেস নিয়ে হাঁটতে শুরু করল, তারপর হঠাৎ পিছন ফিরে আমার কাছে ছুটে এল। আবেগাপ্লুত হয়ে জড়িয়ে ধরলাম চোখে জল।

আমি একজন বাংলাদেশী কোম্পানির মালিক খাইজ আহমেদকে চিনি যিনি প্রায়ই আমার অফিসে আসেন। তার কোম্পানি বাংলাদেশ বোর্ডে কাজ করত, আমি তার কাছ থেকে দিলওয়ারের খোঁজখবর নিয়েছি।

আমাকে জানিয়েছিলেন যে দিলওয়ার জিএম হয়েছেন এবং এখন তিনি অবসরপ্রাপ্ত।

আমরা বাংলাদেশে কোনো বিশেষজ্ঞ পাঠাইনি কিন্তু আমাদের আলাপচারিতার ফলে  BHEL বাঘাবাড়িতে কাজ পেয়েযায়।

Thursday, February 10, 2022

সাধু সঙ্গ

আমার সাধুর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার এই ঝোঁক আছে, এটি এখন অর্জিত নয় তবে যতদূর মনেপড়ে তা আমার ছোটবেলা থেকেই রয়েছে। আমার মোনে পড়ে যখনই তারা আমাদের এলাকায় আসত তখনই আমরা কমন্ডল এবং ত্রিশূল নে্ওয়া সাধুদের অনুসরণ করতাম, যেন তারা পাইড পাইপার। তারা খাদ্যশস্য বা টাকা সংগ্রহের জন্য বাড়ি বাড়ি যেত এবং আমরা তাদের চারপাশে ঘুরতাম। তাদের কেউ কেউ আমাদের তাদের অনুসরণ করতে দেখে বিরক্ত হোতো। যাইহোক, কয়েকজন ভজন গেয়ে আমাদের বিনোদন কোরতো অথবা বাতাস থেকে কিছু হুশ কোরে জিনিশ হাজির করার জাদু দেখাতো। আমি আমার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে বিভিন্ন সাধুর সংসপারশে আসি, আমার আগের ব্লগগুলিতে আমি সেগুলি উল্লেখ করেছি৷ আমি খুব স্পষ্ট নই যে সাধুরা আমাকে আকৃষ্ট করে নাকি তারা আমাকে একজন সহোজ শিকার ভাবে, এটি আমার অহংকে বাড়িয়ে তোলে যেন আমি নির্বাচিত একজন। আমি যখন বারাউনিতে ছিলাম তখন জনৌইকো সাধু আমাকে কিছু টাকা নিয়ে পলায়ন করেছিল, যদিও আমার স্ত্রী আমাকে সতর্ক করেছিল যে সেই সাধু একজন প্রতারক ! কিন্তু এখন আমি আপনাদের একজন সাধুর কথা বলবো তার সাথের কথোপকথন এখনও আমার মনে গেঁথে আছে। এটা অনেকদিন আগেকার ঘটনা। গৌহাটি থেকে মিটারগেজ ট্রেনটি শিটি দিছিলো, আমি আমার প্রথম শ্রেণির কামরা থেকে আমার বন্ধুদের দিকে হাত নাড়ছিলাম। তখনকার দিনে ফার্স্ট ক্লাস ছিল দুইজনের কুপ। আমার সহযাত্রী একজন সাধু,তাকে সি অফ কোরতে অনেক মহিলা এসেছিল। তার ভক্তরা তার জন্য নীচের বার্থে বিছানা রেডি করেছিল, আমার রিজার্ভেশন ছিল উপরের বার্থের জন্য, কিন্তু তখনো ঘুমের সময় হয়নি। দরজা থেকে পেছন ফিরে তাকালাম, সাদা কুর্তা আর ধুতি পরা সাধু নিশ্চিন্তে মোনে বসে আছেন, আমার বসার জায়গা না থাকায় আমি একটু বিরক্ত। কণ্ঠে বললাম, ";এখনও ঘুমের সময় হয়নি!" তিনি বিব্রত হয়ে পড়েছিলেন এবং হাত জোড় করে আমাকে তার বিছানা ভাগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, “অসুবিধার জন্য দুঃখিত, আমার ভক্তরা অতিরিক্ত উত্সাহে বিছানাটি ছড়িয়ে দিয়েছেন। আপনি যদি চান আমি এটি রোল করতে পারি!’’ "না, প্লিজ না, আমি আপনার পাশে বসব।" আমি আমার অভদ্র আচরণে লজ্জিত হয়েছিলাম। আমার লাগেজটি সিটের নিচে ছিল; আমি আমার স্যুটকেসটি টেনে বের করলাম, আমার নাইটওয়্যার বেরকরলাম এবং সংযুক্ত ওয়াশরুমের দিকে রওনা দিলাম। নৈমিত্তিক পরিবর্তনের পর আমি আরামে তার পাশে বসলাম। “রাতের খাবার খেয়েছেন? আমি আপনাকে কিছু অফার করতে পারি।"ধন্যবাদ, আমি আমার বন্ধুদের সাথে স্টেশন ডাইনিং হলে ডিনার করেছি, আপনি দয়া করে চালিয়ে যান।" "আমি রাতের খাবার খাই না; ঘুমানোর আগে কিছু ফল খাব।” এভাবেই আমাদের পরিচয় শুরু হলো। কথোপকথনের সময়, তিনি আমাকে বলেছিলেন যে আসাম, বাংলা এবং বিহারে তাঁর অনুগামি রয়েছে প্রায় লাখ খানেকের ওপোর! তিনি আমাকে দেখে হাসলেন এবং বললেন, "আপনার মনোভাব এবং প্রশ্ন থেকে আমি বুঝতে পারি যে আপনি ঈশ্বরে খুব বিশ্বাস করেন না।" ; আমি ধরা পড়ে গিয়েছিলাম, সংকোচের সাথে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, "আপনি কীভাবে জানেন যে ঈশ্বর আছেন?" “আপনাদের নিজের রামকৃষ্ণ বোলেছেন বিশ্বাসে মেলায় ভগবান তর্ক বহু দূর। এটা বিশ্বাস. আপনি আসলে তাকে দেখতে বা অনুভব করতে চান। আলোচনা আকর্ষণীয় হয়ে উঠছিল; আমি বিষয়টিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছিলাম কারণ আমি অনুভব করতে পারছিলাম যে আমি একজন জ্ঞানী জ্ঞানী ব্যক্তির সাথে কথোপকথন করছি.. তিনি চালিয়ে গেলেন.আপনি আলাস্কা দেখেছেন? মঙ্গল গ্রহ দেখেছেন? আপনি না কিন্তু আপনি তাদের সম্পর্কে শুনেছেন বা পড়েছেন. একইভাবে, আপনি এমন লোকদের পাবেন যারা তাঁকে অনুভব করেছেন বা তাঁর কাছ থেকে কিছু আশীর্বাদ পেয়েছেন। আমি জানি আপনি বিজ্ঞানের ছাত্র এবং বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুঁজবেন. আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এত প্রজাতির প্রাণী, সমুদ্র এবং পর্বত মালা কে তৈরি করেছে? বিজ্ঞানীরা কি এমন একটি গাছ তৈরি করতে পারেন যেখানে নারকেলের ভিতরে জল পাওয়া যায়? আপনি কি জানেন যে একটি অ্যালবাট্রস পাখি তার ডানা না ঝাপটিয়ে সারা বিশ্বে উড়ে বেড়ায়। সেই ডানাগুলো কে ডিজাইন করেছে, যেগুলো তারা ফ্ল্যাপ করে শুধু নামার সময় বা ওঠার সময়? এটা বিশ্বাস করা হয় যে তারা ফ্লাইটের সময় ঘুমায়, খুব কমই নেমে আসে এবং কোনো বিশ্রাম ছাড়াই শত শত মাইল উড়তে থাকে, তাদের 60 বছর বা তারও বেশি জীবনকালে তারা লক্ষ লক্ষ মাইল উড়ে যায়. এয়ারো ইঞ্জিনিয়াররা দক্ষ এয়ারফ্রেম ডিজাইন করতে এই পাখির ফ্লাইট প্যাটার্ন এবং ডানা অধ্যয়ন করছেন। কল্পনা করুন যে 7 কেজি বা তার বেশি ওজনের একটি পাখি 12 ফুট ডানার স্পেনে উড়ছে মহাদেশ জুড়ে মাইলের পর মাইল। কে তৈরি করেছে এই ভারী প্রাণীটিকে উড়তে? প্রতিটি জীবের মধ্যে ঈশ্বর আছেন, আপনি আমি এবং সবার মধ্যে। যখন আপনি কোন অভাবীকে সাহায্য করেন তখন আপনি সেই মুহূর্তের জন্য তার জন্য ঈশ্বর হয়ে যান। আমরা বিশ্বাসের নিরাময় করতে পারি না তবে অন্তত আমাদের সহানুভূতি প্রসারিত করে এবং অন্যদের সমস্যার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে আমরা তাদের অস্থির আত্মাকে নিরাময়ের স্পর্শ দিতে পারি। আমি কোন অলৌকিক কাজ করি না বা রোগের সমাধান নেই, এটি একজন ডাক্তারের কাজ। আমি অন্যদের সমস্যার কথা শুনি, কারণ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি। সেদিন তিনি যা বলেছিলেন তা সর্বজনীন সত্য, কোনো মতের বিরোধ নেই, তাঁর প্রবচন দেখে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। প্রথমে আমি সন্দেহপ্রবণ ছিলাম কিন্তু তার সাথে কথা বলে আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা জানতে পারলাম। সেই দিনগুলিতে তাত্ক্ষণিক তথ্য পাওয়ার জন্য কোনও গুগল ছিল না, জ্ঞান অর্জনের জন্য বই পড়তে হোতো এবং তারপরে সেই তথ্যগুলি ব্যাখ্যা করার জন্য বুদ্ধিমত্তা থাকতে হবে।সেই সাধু বই পড়েছিলেন এবং কিছু উপলব্ধি তাঁর কাছে এসেছিল যা তাকে ঋষির জীবন গ্রহণ করতে বাধ্য করেছিল। আমার কাছে তিনি আধুনিকদের মতো নকল বলে মনে হয়নি। আমি আমার অন্যান্য এনকাউন্টারে যেমন উল্লেখ করেছি সে আমাকে কোনো জাদুর ওষুধ দেয়নি। ঘুমের সময় ঘনিয়ে আসছিল, তাকে শুভরাত্রি করার পর; আমি আমার উপরের বার্থে উঠলাম। পরের দিন সকালে ট্রেনটি বারাউনিতে পৌঁছায়, আবার তাকে গ্রহণ করার জন্য ভক্তদের ভিড়। তিনি আমাকে দেখে হাসঁলেন আমি তার দিকে হাত নেড়ে আমার লাগেজ নিয়ে নেমে পড়লাম।

Friday, January 28, 2022

Losers' business

Hemant is a Marwari trader known to me. While returning from Jodhpur after attending a wedding, I saw him go out to market in the afternoon and return with an expensive astadhatu idol of Ram darbar. He told me that he bought it from an antique shop for 35000 rupees. While boarding the plane, Hemant carefully packed that with thermocol and put that on conveyor. I asked, "Are you taking it to decorate the house?" He laughed and said "No, I will sell it after one year. This kind of idol is very rare." After a few days later I met him on Park Street. -What are you doing now? I asked. - I bought a racehorse. That is very expensive! I reacted! Hemant laughed and said, "It is not what you think. Not a pedigree horse." I was a little surprised and said "Won’t you run it in the race?" “Yes, but not to win. Will only participate. The real race is between 3 or 4 horses, the rest is for the betting crowd, it is just to increase the number of running horses. The remaining 5 or 6 horses are just running. My horse is one of them. "Who pays?" "A percentage of that total collection is shared with us. My horse has a good profit margin excluding maintenance costs." "Stables and maintenance costs a lot to keep the horse."I interjected. "I will give you the figures. I bought this horse for three lakh rupees. The horse is in the race course stables where all the other horses are. You might have seen the horses grazing in maidan. I pay 12 thousand rupees per month. It earns double of what I would have got as interest if I had put the same amount in fixed deposit" I thought to myself that even looser can make money. I started thinking that maybe something like this happening in those numerous music completion held by all TV channels.

Saturday, January 01, 2022

জিরো মাইল

60 দশকের শেষ থেকে 70 দশক এর শেষ অব্দি প্রায় 11 বছর আমি Indian Oil Corporation এর Barauni Refinery তে পোস্টেড ছিলাম।
তখন বেগুসরাই এক বিভীষিখা, খুন,ডাকাতি প্রায়।
আমরা township এ সব সময় সাবধান থাকতাম।আমরা চাইতাম আমাদের ট্রান্সফার জেন Baroda Refinery তে হয়।
আমরা বলা বলি করতাম বেগুসরাই তে 100 টাকার জন্য প্রাণ নিয়ে নেবে কিন্তু গুজরাটে 100 টাকার জন্য প্রাণ দিয়ে দেবে।
বেগুসরাই ডিস্ট্রিক্ট এর জিরো মাইল township থেকে প্রায় 5 কিলোমিটার। আসাম থেকে হাইওয়ে নর্থ বেঙ্গল হয়ে বিহার এ ঢুকছে সেই হাইওয়ে জিরো মাইল এ দিল্লি র হাইওয়ে কে কাটছে মোকামা ব্রিজের আগে।
এই জিরো মাইল এক কুখ্যাত জায়গা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে বেশ কিছু ধাবা রাস্তার দু দিকে।
তখন ব্যাচেলার ছিলাম সাহস বেশি,  রাতনাম, রঘু, আইয়ের এর সঙ্গে কখন কখন রাত 12 টায় ওই ধাবা তে খাবার এর জন্য যেতাম। এটা অবশ্য সাহস নয় এটা দুঃসাহস।
পরে ওই জিরো মাইল এর এক ঘটনার পর আমাদের সাহস হয়নি রাত্তিরে যাওয়া।
ঘটনা টা এই রকম।
এক ধাবায় দুজন মুখ মুখি খাবার খাচ্ছে কেউ কাউকে চেনে না, একেবারে অজানা।
দূরে রেডিও তে পপুলার হিন্দি গান "বো ল তেরে সাথে ক্যায় সালুক কিয়া যায়, মার দিয়া যায় ইয়া ছোড দিয়া যায়।" বাজছে।
তখন হঠাৎ ওদের মধ্যে যে মাতাল ছিল এক রিভলভার বার করে অন্য জনের দিকে টিপ করে বলল জোরে জোরে "বোল তেরে সাথ কয়া সলুক কিয়া যায়।"
অন্য আর এক টেবিলে এক মাতাল বসেছিল, সে এই শুনে চেঁচি এ বলল,"মারা দিয়া যায়"
বাস তখন এই রিভলভার ধারি মাতাল হাঁসতে হাঁসতে গুলি চালিয়ে দিল।
পরে অবশ্য পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যায় কিন্তু এই ঘটনার পর আমাদের জিরো মাইল এর পেরস্পেক্টিভ বদলে যায়।
আমরা যাওয়া বন্ধ করে দি।
আমরা তখন বেগুসরাই কে চম্বল বলতাম। এখনো কিছু বদলায় নি। শেষ যখন 2000 এ refinery তে কোনো কাজে যাই তখন দেখি township ঘিরে দেয়াল তোলা যেটা আমি যখন ছিলাম ছিল না।
কিছু দিন আগেই এক engineer তার গাড়ি তে তেল ভরাছিল township এর কাছেই পেট্রোল পাম্পে। সদ্য বিকেল, ওকে গুলি করে মেরে দিয়ে দুস্কৃতি ওর গাড়ি টা নিয়ে চম্পট।
এখন যখন ওই সব দিন ভাবি তখন ভাবি কি করে আমি 11 টা বছর ওই রকম জায়গায় কাটালাম।
এই রকম কিছু ঘটনা ছাড়া দিন ভালই কেটেছিল। 1978 এ IOC ছেড়ে BHEL জয়ন করি।